
নিজস্ব প্রতিবেদক // পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বরিশালে পোর্ট রোড বাজার মোকামে চড়েছে ইলিশের দাম। বড় আকারের ইলিশ এ বাজারে নেই। মাঝারি আকারের প্রতি মণ ইলিশের দামই লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজার ও মোকাম ঘুরে অল্প পরিমাণই ইলিশের দেখা মিলেছে।
ইলিশ খাওয়ার শখে বাজারে আসা বাবুগঞ্জের মাধবপাশা এলাকার মো. সুজন বলেন, “দাম জিজ্ঞেস করে আমি থ হয়ে গেছি। আধা কেজি ওজন সাইজের মাছের কেজি এক হাজার ১০০ টাকা চায়। দামাদামি করার কোনো সুযোগও নেই।
শুনে ইলিশ খাওয়ার শখ মিটে গেছে।” পোর্ট রোডের মেসার্স আক্তার মৎস্য আড়তের মো. ইউসুফ বলেন, “বর্তমানে বিভিন্ন অভয়াশ্রম শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে ইলিশ খুব কম আসছে। তাই ইলিশ মাছের আগুন দাম।” শুক্রবার সমগ্র পোর্ট রোড বাজারে পঞ্চাম মণ ইলিশও উঠেনি। দুপুরের দিকে আমদানি কিছুটা বাড়ে। এদিন খুচরা বাজারে এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের মাছ প্রতি মণ এক লাখ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এক কেজি আকারের ইলিশের মণ এক লাখ ৫ হাজার, এলসি সাইজ ইলিশ প্রতি মণ ৯২ হাজার, আধা কেজি ওজনের মাছ ৫৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। পোর্ট রোড বাজারের ব্যবসায়ী জহির সিকদার বলেন, “এখনই যে দাম! পহেলা বৈশাখে আরো বাড়বে। কারণ, ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে। যে ইলিশ পাওয়া যায়, তা দিয়ে স্থানীয় চাহিদা মেটানোই সম্ভব নয়। এ সংকট কাটবে না। আরো বাড়বে।”
এবার বৈশাখ উপলক্ষ্যে ভারতে মাছ পাঠানোর ‘চিন্তা করাও উচিত হবে না’ বলে মনে করেন তিনি। বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, “নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যেকোনো প্রকারের মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে।
নদীতেও ইলিশ মাছ কম আসছে। কম ধরা পড়ায় দাম তাই বেশি। সামনে জো রয়েছে; সাথে বৃষ্টি নামলে মাছ পাওয়া যাবে।”
Leave a Reply